২৮ অক্টোবর ঘিরে উত্তেজনা,নানামুখী আলোচনা ও গুঞ্জন।
বাংলার জমিন ডেস্ক :
আপলোড সময় :
২৩-১০-২০২৩ ০৪:৫৫:৪৬ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৩-১০-২০২৩ ০৪:৫৫:৪৬ অপরাহ্ন
ফাইল ছবি :
দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ২৮ অক্টোবর ঘিরে ছড়িয়ে পড়ছে উত্তেজনা। বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। রাজনৈতিক মাঠে বড় দুই দলের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে জনমনে এখন অজানা আশঙ্কা। চলছে নানামুখী আলোচনা ও গুঞ্জন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। পদস্থ কর্মকর্তারা দফায় দফায় বৈঠকে বসছেন। মাঠপর্যায়ে নানা নির্দেশনা দিচ্ছেন। তারা বলছেন, জানমাল রক্ষায় যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত। এমন নানামুখী উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস গতকাল সাক্ষাৎ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে। তিনি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও হস্তক্ষেপবিহীন অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। দূতাবাসের পক্ষ থেকে রাতে এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছে বিএনপিসহ বেশকিছু রাজনৈতিক দল। ইতোমধ্যে নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে সরব দলগুলো। এবার তারা নামতে যাচ্ছে চূড়ান্ত আন্দোলনে। এরই অংশ হিসেবে ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি।
এ সমাবেশ থেকেই সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনে নামবে দলটি। ওইদিন ঢাকা শহরকে মিছিলের নগরীতে পরিণত করতে চায় দলটি। ঢাকায় একই দিন একই কর্মসূচি পালন করবে ক্ষমতাসীন দলও। বিএনপি নৈরাজ্য চালাতে পারে-এমন আশঙ্কায় জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে রাজপথে থাকবেন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। আন্দোলনের নামে রাজধানীতে কোনো অশান্তি সৃষ্টি করলে এর কড়া জবাব দিতে পাড়া-মহল্লার মোড়ে পাহারার পাশাপাশি গুলিস্তান এলাকায় মহাসমাবেশের পরিকল্পনা নিয়েছে দলটি।
দুই দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সচেষ্ট থাকবে, যেন ঢাকা অচল না হয়। রাস্তাঘাট সচল রাখতে পুলিশ কাজ করবে। ২৮ তারিখ ঢাকা অচল করতে দেওয়া হবে না। বিএনপির সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হলে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। সচিবালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যদি ১০ লাখ লোক বা আরও বেশি ঢাকা শহরে ঢোকে, যেটা তারা (বিএনপি) বলছেন, তাহলে তো মিসম্যাচ হয়ে যাবে যোগাযোগে। এগুলো যাতে তারা না করে সে জন্য আমরা অনুরোধ করব।
মন্ত্রী বলেন, পিটার হাস জানতে চান আসা-যাওয়া বন্ধ করে দেব কি না? আমরা বলেছি, আসা-যাওয়া বন্ধ কেন করব! ঢাকায় তো সবারই প্রয়োজন। রোগীর প্রয়োজন, বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজন। আসা-যাওয়া বন্ধ করার প্রশ্নই আসে না। তারা আসবে, যাবে, সেখানে আমরা বাধা দেব না। আমরা কোনো চিন্তাও করছি না। আমরা শুধু এটুকু বলব, তারা যেন কোনো সহিংসতায় লিপ্ত না হয়। রাস্তায় চলাচল তারা যেন সচল রাখে, এটুকুই আমাদের অনুরোধ। আমরা রাষ্ট্রদূতকেও সেটিই জানিয়েছি।
বিএনপির কর্মসূচি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এমনিতেই যানজটের শহর ঢাকা। তারা বলছে ১০ লাখ লোক আসবে বাহির থেকে, সেখানে একটা তীব্র যানজট হতে পারে। বিভিন্ন সেবা নেওয়ার জন্য বা বিদেশে যাওয়ার জন্য যারা আসবে তারা নানান অসুবিধার মুখে পড়বে। এটা আমাদের পুলিশ বাহিনী ধৈর্যের সঙ্গে দেখবে। যেখানে যা করা দরকার রাস্তাঘাট পরিষ্কার করার জন্য তা তারা করবেন। একজন রাষ্ট্রদূতের একটি রাজনৈতিক দলের নির্দিষ্ট কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাওয়া কূটনৈতিক শিষ্টাচারের ভিতরে পড়ে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, তিনি একটি রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত, তিনি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছেন, আমরা তাকে উত্তর দিয়েছি।
এটা করতে পারে কি পারে না সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। সেটা আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আছে। মন্ত্রী বলেন, এর বাইরেও অনেক কিছু নিয়ে আলাপ করেছেন। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলাপ হয়েছে। তারা কিছু রোহিঙ্গাকে বিভিন্ন দেশে নিতে চান, আমাদের এসবি ক্লিয়ারেন্স দেরি হয়। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি, এটা আমাদেরও মাথাব্যথা। অন্য দেশে যদি নিয়ে যায়, আমরা স্বাগত জানাই। এ জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা সে ব্যবস্থাটা করব।
এ ছাড়া পূজার নিরাপত্তা বিষয়ে জানতে চেয়েছেন হাস। শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছি। পূজা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রদূত। এ সময় রাজপথ দখলে রাখতে দুই দলের বক্তব্য রাজনৈতিক বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ছাড়া নির্বাচনকালীন সরকার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার।bangladesh/proti
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin
কমেন্ট বক্স